বোয়ালখালীতে এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমন ধান ঘরে তুলছে কৃষাণ-কৃষাণী। ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াইয়ের কাজে পুরোদমে ব্যস্ত তারা। এবার ধান কাটায় স্বস্তি এনে দিয়েছে রিপার। ধান কাটার কাজে সাড়া ফেলেছে এ মেশিন। সময় ও মজুরি কম লাগায় এ মেশিনের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে সাধারণ কৃষকের।
আমুচিয়া ইউনিয়নের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, এ মেশিনে ঘণ্টায় ৪০ শতক জমির ধান কাটা যাচ্ছে। এতে সময়ের পাশাপাশি মজুরিও লাগছে কম। ফলে ধান কাটার খরচ অনেকটা কমে এসেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আতিক উল্লাহ জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে ভর্তুকিতে বোয়ালখালীতে ৩টি ধান কাটার মেশিন রিপার প্রদানের মাধ্যমে সরকার কৃষিকাজকে একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। এ মেশিন ব্যবহারের ফলে কৃষকের ধান কাটার খরচ অনেকাংশে কমে গেছে।
এবার বোয়ালখালীতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৮শত হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৪শত ৫০ হেক্টর জমিতে। বাম্পার ফলন হয়েছে আমনের।
রিপার ব্যবহারকারী কাজী মো. শাহী এমরান কাদেরী বলেন, আধুনিক ধান কাটার রিপার মেশিন এলাকার কৃষকদের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে ও কম সময়ের মধ্যে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে। এতে ধানের ঝরে পড়া ও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ৪০ শতক জমির ধান মাত্র ১ হাজার টাকায় কাটা সম্ভব হচ্ছে।
গত ১৫ নভেম্বর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সহায়তায় প্রাথমিক পর্যায়ে আমুচিয়ার কাজী মো. শাহী এমরান কাদেরী, খরণদ্বীপে মনসুর আহমেদ ও সারোয়াতলীতে মো. ইউছুফকে আধুনিক ধান কাটার মেশিন রিপার প্রদান করা হয়। মেশিন প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ওবাইদুল হক হক্কানী ও কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ।