মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আনার অভিযোগে নগরের সিইপিজেডে আটক করা হয়েছে ৭৪ লাখ ২৬ হাজার টাকার কাপড়ের চালান। তবে চালানের আমদানিকারকের হদিস মেলেনি। দুই সপ্তাহ আগে একইস্থানে একই প্রতিষ্ঠানের ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করা আরেকটি অবৈধ পণ্যের চালান আটক করেছিলেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় সিইপিজেডের গেট পার হওয়ার সময় একটি কাভার্ডভ্যানকে থামান কাস্টমস ও বেপজার কর্মকর্তারা। এসময় কাভার্ডভ্যানের চালকের কাছে চালানের কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়। চালানে সোডিয়াম সালফেটের কথা উল্লেখ করা হলেও কাস্টমস কর্মকর্তারা কাভার্ডভ্যানে পান ১১ দশমিক ৬৫৯ মেট্রিক টন কাপড়ের রোল।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি সিইপিজেডের গেটে একই প্রতিষ্ঠানের ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে পার করার সময় অপর একটি কাভার্ডভ্যানকে আটক করা হয়। পরে কাস্টমস কর্মকর্তারা ঐ কাভার্ডভ্যান থেকে ১৫ দশমিক ৯১৩ মেট্রিক টন কাপড়ের রোল জব্দ করেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য খালাস করতে চেয়েছিলেন আমদানিকারকরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে কাপড়ের রোলভর্তি একটি কাভার্ডভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ট ২০-১৪৯৩) আটক করা হয়। মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের উপ কমিশনারের (প্রিভেন্টিভ) নেতৃত্বে কাস্টমস ও বেপজার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চালানটি যাচাই-বাছাই করা হয়। এসময় কাভার্ডভ্যানটিতে ১৮ ধরনের বিভিন্ন মানের কাপড় পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, বেপজার কর্মকর্তারা কাভার্ডভ্যান চালকের কাছ থেকে চালানের কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি গাড়ি রেখে পালিয়ে যান। পরে কাভার্ডভ্যান থেকে কিউএনএস কনটেইনার সার্ভিস লিমিটেডের নামে ইস্যুকৃত ভুয়া কাগজপত্র পাওয়া যায়। কিছুদিন আগে একইভাবে একই প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা ঘোষণায় আরেকটি চালান খালাসের চেষ্টা করা হলে তা আটকে দেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। ওই কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ট ১৩-৫২০৬) থেকে ১৫ দশমিক ৯১৩ মেট্রিক টন কাপড়ের রোল আটক করা হয়েছিল।
তিনি জানান, দুই দফায় আসা দুই কাভার্ডভ্যানে মোট ৭৪ লাখ ২৬ হাজার টাকার কাপড়ের শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছিল।
জানা যায়, দুই কার্ভাডভ্যানে মোট ২৭ দশমিক ৫৭২ মেট্রিক টন কাপড়ের রোল পাওয়া গেছে। যার শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ৮৩ লাখ ৪০ হাজার ১২৭ টাকা।
এ ঘটনায় রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে কাস্টমস অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।