চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৪১তম সভা উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় শুরু হওয়া সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।
সভার শুরুতে উপাচার্য একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তাঁর সময়কালে সম্পাদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন।
মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনে উপাচার্য হাটহাজারীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস স্থাপন, কক্সবাজারে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন, ঢাকার পূর্বাচলে পেট এনিম্যাল হসপিটাল ও রিসার্চ সেন্টার স্থাপন, কাপ্তাই লেকে ভ্রাম্যমান গবেষণা তরী নির্মাণ, রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন আয়োজন, আন্তর্জাতিক কোলাবরেশন্স ও বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর, শতভাগ শিক্ষার্থীর বিদেশে ইন্টার্নশিপের সুযোগ সৃষ্টি, দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মাণ, অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পূর্ণাঙ্গ অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন, নতুন অনুষদ ও ইনস্টিটিউট অনুমোদন ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন।
এ সময় অধিবেশনে উপস্থিত সিন্ডিকেটের সদস্যবৃন্দ উপাচার্যের সফল কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. এম. শাহ নওয়াজ আলী, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. নুরল আনোয়ার, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. নুরুল আবছার খান, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. আ. হালিম, ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. এ.কে.এম. সাইফুদ্দীন, প্যাথলজি ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মাসুদুজ্জামান, ভেটেরিনারি ক্লিনিক্স এর পরিচালক প্রফেসর ড. ভজন চন্দ্র দাস, রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেটের সদস্য সচিব মীর্জা ফারুক ইমাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের পর হাটহাজারীতে ১০ একর জমির উপর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস স্থাপন করা হয়েছে এবং একনেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত ক্যাম্পাস স্থাপনে ১৮০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেন। বর্তমানে এর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। সেখানে দু’টি অনুষদ ও একটি ইনস্টিটিউটসহ মাঠ পর্যায়ে গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির কাজ চলছে। কক্সবাজারের দরিয়ানগরে পাঁচ একর জমিতে একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। “ইনস্টিটিউট অব কোস্টাল বায়োডায়ভারসিটি এন্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন” নামে স্থাপিত উক্ত ক্যাম্পাসে মালয়েশিয়ান কারিগরি সহযোগিতায় কোরাল মাছের পোনা উৎপাদনের প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণের উদ্দেশে নরম খোলসের কাঁকড়া চাষের পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে।
জয়নিউজ/কাউসার/জুলফিকার