মিলাদুন্নবি (সা.) উপলক্ষে নগরে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে জশনে জুলুস চলছে। আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় এবারের এই জশনে জুলুস। বিগত বছরগুলোতে জুলুসে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আওলাদে রাসুল আল্লামা সৈয়দ মু. তাহের শাহ। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবার নেতৃত্ব দিচ্ছেন শাহজাদা আল্লামা সৈয়দ মু. হামিদ শাহ।
বুধবার (২১ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় ষোলশহরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে জুলুস শুরু হয়। জুলুসকে ঘিরে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণে সাজানো হয় জামেয়া মাদ্রাসা, মুরাদপুর ও আশপাশের এলাকাসহ পুরো নগর।
পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ১৯৭৪ সাল থেকে চট্টগ্রামে জুলুস হচ্ছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় জুলুস। এবারের জুলুসে ৬০ লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরো বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক দেশে জুলুস ছড়িয়ে পড়েছে। মিশরে রাষ্ট্রীয়ভাবে জুলুস বের করা হয়। আমরা আশা করব, নবিজীর শানে আয়োজিত চট্টগ্রামের জুলুস গিনেস বুকে স্থান পাবে। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি পাবে।
জুলুস নগরের মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, দেওয়ানবাজার, সিরাজদ্দৌলা রোড, আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড, চেরাগি পাহাড়, জামালখান, চট্টগ্রাম কলেজ হয়ে পুনরায় মাদ্রাসায় ফিরে যাবে বলে জয়নিউজকে জানান জুলুসের মিডিয়া ডেস্কের আহ্বায়ক আমির হোসেন সোহেল জানান।
জুলস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে নিয়ে দরবারে সিরিকোটের তৎকালীন পীর সাহেব কেবলা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহের (র.) নির্দেশ ও রূপরেখায় আনজুমান ট্রাস্ট চট্টগ্রামে প্রথম জুলুস প্রবর্তন করে। আনজুমান ট্রাস্ট টানা ৪৭ বছর এই আয়োজন করছে।
আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের (এএসএফ) প্রধান সাদেক হোসেন পাপ্পু বলেন, পুলিশ, র্যাব, আনসার বাহিনীর পাশাপাশি ৩০০ স্বেচ্ছাসেবী এএসএফ সদস্য ১৫ পয়েন্টে আছেন। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক আছেন ৪ হাজার।
ধর্মপ্রাণ লাখো মানুষের পাশাপাশি জুলুসে অংশ নিচ্ছেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মুফতি ওবায়দুল হক নঈমী, জামেয়ার অধ্যক্ষ মুফতি মু. অছিয়র রহমান, মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মো. সরওয়ার উদ্দিন, আনজুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মো. আনোয়ার হোসেন, গাউছিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার ও অধ্যক্ষ মু. বদিউল আ ম রিজভী প্রমুখ।