স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদকের ব্যাপারে কাউকে ছাড় নয়। ইয়াবা কারবারিরা যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য যদি মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, আগে দেশ বাঁচাতে হবে। সীমান্ত দিয়ে কোনোপ্রকার মাদক ও অবৈধ নাগরিক যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য বিজিবিকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে টেকনাফ পাইলট হাইস্কুল মাঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আত্মসমর্পণকারীদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা আল্লাহর কাছে মাফ চান। ভালো হয়ে যান। দেশ-জাতির ভবিষ্যত নির্মাণে এগিয়ে আসুন। যারা এখনও আত্মসমর্পণ করেননি, তারা দ্রুত আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করুন।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী, সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার, জাফর আলম, আশেক উল্লাহ রফিক, সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ২৯ গডফাদারসহ ১০২ তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেন। এই ব্যবসায়ীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী।
এ সময় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ৩ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৩০টি দেশে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৭০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ জমা দেন। আত্মসমর্পণের পর তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।