তরুণ চিকিৎসক আকাশের আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ডাক্তার মিতুকে আবারো রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ। তবে এক্ষেত্রে পুলিশ মামলার অন্যতম আসামি মাহবুবকে গ্রেপ্তার করতে চায়। মাহবুবকে গ্রেপ্তার করতে পারলে মিতুর মুখোমুখি তাকে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে বলে ধারণা করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
পুলিশ সূত্র জানায়, ভারতীয় বংশদ্ভুত মার্কিন নাগরিক উত্তম প্যাটেলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পেরেই স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় ডা. আকাশের। এর জেরেই আকাশ আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ অনেকটা নিশ্চিত। তবে এর সাথে মিতুর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের বন্ধু মাহবুবেরও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না তা জানার জন্য তাকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার সিদ্ধান্ত পুলিশের। তবে এক্ষেত্রে মাহবুবকে আগে গ্রেপ্তার করতে চায় পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার এসআই আব্দুল কাদের জয়নিউজকে বলেন, প্রথম দফার রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিকে দাম্পত্য জীবনে কলহের বিষয়টি এড়ানোর চেষ্টা করেন মিতু। কিন্তু আকাশ ও মিতুর মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া নানা তথ্য প্রমাণ তার সামনে উপস্থাপনের পর মিতু তার অবস্থান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হন। পরে তিনি প্যাটেল ও অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন।
এসআই আব্দুল কাদের বলেন, মিতুকে আমরা দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নিতে চাই। তবে এর আগে আমরা মিতুর বন্ধু মাহবুবকে গ্রেপ্তার করতে চাই। তাদের দু’জনকে মুখোমুখি বসালে আরো অনেক রহস্য উদঘাটন হবে।
উল্লেখ, গত ৩১ জানুয়ারি ভোরে নগরের চান্দগাঁও এলাকার বাসায় শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেন চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ। তবে আত্মহত্যার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার করুণ পরিণতির জন্য স্ত্রী ডাক্তার তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর পরকীয়াকে দায়ী করেন তিনি।
এ ঘটনায় আকাশের মা জোবেদা খাতুন বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মিতুর মাসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত শুধু মিতুকেই গ্রেপ্তার করতে পেরেছে পুলিশ।