কারখানা দুটিতে ঘনচিনি, স্যাকারিন, রং, এ্যারারুট, বার্লি ও ক্ষতিকারক উপাদানে তৈরি হচ্ছিল আইসক্রীম! স্কুল-কলেজের সামনে গাড়ি ভর্তি করে এসব খাওয়ার অযোগ্য আইসক্রিম শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করা হত!
ঘটনা হাটহাজারীর। স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য।
মঙ্গলবারের (১৯ ফেব্রুয়ারি) চালানো অভিযানে দুটি কারখানার প্রায় ২০ হাজার আইসক্রিম ধ্বংস করা হয়।
জানা যায়, এদিন উপজেলার দুটি আইসক্রিম কারখানা ও হালদা নদীতে পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন মো. রুহুল আমিন।
দুপুরে পৌরসভার ফয়জিয়া-১ ও ফয়জিয়া-২ নামের আইসক্রিম কারখানায় এ অভিযান পরিচালনা করে খাওয়ার অযোগ্য আইসক্রিম তৈরির দায়ে কারখানার মালিককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ইউএনও রুহুল আমিন জানান, দুটি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে ক্ষতিকারক আইসক্রিম নষ্ট করা হয়েছে। তাছাড়া কারখানার মালিককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এদিকে দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মদুনাঘাট এলাকার হালদা নদী থেকে এক হাজার মিটার ভাসা জাল জব্দ করে আগুনে পোড়ান ইউএনও রুহুল আমিন। এসময় ইউএনও’র সঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদও উপস্থিত ছিলেন।