নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার ও জাতীয় পরিচয়পত্র হালনাগাদ করতে হবে। স্কুল ও দোকানে বসে হালনাগাদ কার্যক্রম চালানো যাবে না। এছাড়া রোহিঙ্গাদের ভোটার করলে তথ্য সংগ্রহকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন অফিসের এক ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এ কার্যক্রম উপলক্ষে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নির্বাচন কমিশন এ কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মুনীর হোসাইন খান।
নির্বাচন কমিশন আরও বলেন, আগে হালনাগাদ করার সময় চার আঙুলের চাপ নেওয়া হলেও এবার নেওয়া হবে ১০ আঙুলের। বায়োমেট্টিকে চোখের আইরিশ নেওয়া হবে। এছাড়া এবারে তৃতীয় (হিজড়া) লিঙ্গের নাম ও পরিচয় দুই নম্বর ফরমে পূরণ করবে তথ্যসংগ্রহকারীরা। যাদের জন্ম ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বা তারও আগে তারা হালনাগাদে নিবন্ধিত হতে পারবেন। হালনাগাদের পাশাপাশি ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটার জন্য মৃত ভোটারদের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। ১২ ও ১৩ নং ফরমে যারা মারা গেছে বা স্থানান্তরিত হয়েছে তাদের বাদ দিতে হবে।
উল্লেখ, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) থেকে সীতাকুণ্ডসহ সারাদেশে ভোটার ও জাতীয় পরিচয়পত্র হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।