‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শহর এলাকায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ) সংশোধন হতে হবে।’
নগরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শনিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ইভিএম প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ একথা বলেন।
হেলালুদ্দীন বলেন, ইভিএম ব্যবহার করা হলে আগামী নির্বাচনে ভোট কারচুপির কোন সুযোগ থাকবে না। ইভিএম ব্যবহারের ফলে স্মার্ট কার্ড, ভোটার কার্ড এবং ভোটারের উপস্থিতি ছাড়া কোনভাবেই ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। আধুনিক প্রযুক্তি হওয়ায় যারা ভয়ে এর বিরোধিতা করেছেন তাদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, অত্যাধুনিক ভার্সনেই ইভিএম তৈরি করা হয়েছে। তাই নতুন প্রযুক্তিকে স্বীকার করে ইভিএমে ভোট দেওয়ায় ভোটারদের মানিয়ে নিতে হবে।
সারা বিশ্বের নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার জনপ্রিয় হচ্ছে জানিয়ে স্বাগত বক্তব্যে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ইভিএমে ভোট দিতে সময় লাগবে মাত্র ১৪ সেকেন্ড। ইভিএম ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া সবচেয়ে সহজ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র আঙ্গুলের ছাপ আর বাটন চেপেই ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ইভিএম মেশিন তৈরি হয়েছে। দেশ-বিদেশে ইভিএম নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের এই ইভিএম প্রদর্শনী মেলায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন। অনুষ্ঠানে ইভিএম সম্পর্কিত বক্তব্য দেন এসএম আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা।
জয়নিউজ/পার্থ/জুলফিকার