উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৭৮টি উপজেলায় ভোট নেওয়া শুরু হয়েছে।
রোববার (১০ মার্চ) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।
এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যদিও জাতীয় নির্বাচনের দুই মাসের বেশি সময় পর অনুষ্ঠিত এই স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বিএনপিসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক জোটগুলো এ নির্বাচন বর্জন করেছে। ফলে এবারের নির্বাচন হচ্ছে অনেকটা একতরফা।
ইতোমধ্যে প্রথম ধাপের ১৫টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, যারা আওয়ামী লীগেরই নেতা। আর বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচন বর্জন করলেও, দলটির স্থানীয় নেতাদের কেউ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।
জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভূমিকা সমালোচিত হলেও উপজেলা নির্বাচন ঘিরে শেষ মুহূর্তে সংস্থাটি কিছুটা কঠোর অবস্থান নিয়েছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না মনে করে তিনটি উপজেলার নির্বাচন শেষ মুহূর্তে স্থগিত করেছে ইসি। এর আগে ইসি নয়জন সাংসদকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এ ছাড়া কয়েকটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও বদলি করা হয়েছে।
এবার সারাদেশে পাঁচটি ধাপে ৪৮০টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। প্রথম ধাপে ৮৭টি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপের এ ৭৮টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ১ কোটি ৪২ লাখ ৪৮ হাজার ৮৫০ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৫ হাজার ৮৪৭টি। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ২০৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৮৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪৯ জন। প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
জয়নিউজ/বিশু/আরসি