বাংলাদেশে বিতাড়ন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনশন ধর্মঘট শুরু করেছে দেশটিতে আটকে থাকা রোহিঙ্গারা।
দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে সৌদি আরবেই সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গার বসবাস। ১৯৭৩ সালে বাদশাহ ফয়সালের সময়ে মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের সৌদি আরবে আশ্রয় দেওয়া হয়। সে দেশে জন্ম নেওয়া রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও একই নীতি অনুসরণ করা হয়। সম্প্রতি শুমাইসি আটক কেন্দ্রের প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়,
প্রতিদিন খাবার না খেয়ে মেঝেতেই রেখে দিচ্ছেন রোহিঙ্গারা। ছড়িয়ে আছে রুটির ব্যাগ ও স্যুপ। সবাই নিজের বিছানায় শুয়ে আছে। খাবার না খেয়েই জানাচ্ছে প্রতিবাদ। গত চারমাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনশন শুরু করল তারা।
অনশনরত এক রোহিঙ্গা জানান, অন্তত ৬০ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশিদের মতো করে ফেরত পাঠানো হয়। এটা দেখার পর আমরা ফিরে যেতে চাই না। সম্ভব হলে জাতিসংঘ যেন আমাদের নিয়ে যায়। তাই আমাদের আবারও অনশন শুরু করতে হয়েছে।
১৯৫১ সালে প্রণীত জাতিসংঘের রিফিউজি কনভেনশন অ্যাক্ট-এ স্বাক্ষর করেনি সৌদি আরব। শরণার্থী নীতির অনুপস্থিতিতে সেখানে থাকা শরণার্থীদের কাজের অনুমতি কিংবা চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হয় না।
জয়নিউজ/পলাশ/আরসি