আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবাল কারাগারে। বন্দর এলাকার যুবলীগকর্মী মো. মহিউদ্দিন হত্যা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালত তাকে কারাগার পাঠান।
বিষয়টি জয়নিউজকে নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, মহিউদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাজী ইকবাল আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
গত ২৬ মার্চ সল্টগোলা ক্রসিং এলাকার মেহের আফজাল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সভা চলাকালে প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকে সন্ত্রাসীরা মো. মহিউদ্দিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে। এই ঘটনায় ২২ জুলাই হাজী ইকবালসহ ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় বন্দর থানা পুলিশ। হাজী ইকবালসহ ১১ জন আসামি এতদিন পলাতক ছিলেন। এর মধ্যে ৯ জন কারাগারে আছে।
হাজী ইকবাল জাতীয় নির্বাচনে বন্দর আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি ২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে শিয়াদের হায় হোছাইন হায় হাছানের মতো ‘হায় মুজিব হায় মুজিব’ মাতমে সমালোচনার মুখে পড়েন। শিয়ারা শরীর থেকে রক্ত ঝরানোকে পুণ্য মনে করে। কিন্তু ইকবালের রক্ত ঝরাতো দূরের কথা, তার জামাও কাটেনি জিঞ্জির চাকুর আঘাতে।
স্থানীয় রাজনীতিতে যুবলীগকর্মী মহিউদ্দিন দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান মুরাদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাসানের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হাজী ইকবালের বিরুদ্ধে প্রায় সময় স্ট্যাটাস দিতেন। এই দ্বন্দ্ব থেকেই মহিউদ্দিনকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
জয়নিউজ/এফএম/আরসি