হাটহাজারীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মো. ইউসুফ নামে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি পেশায় একজন কৃষক।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত ইউসুফ উপজেলার ১০নং উত্তর মাদার্শার মাছুয়া ঘোনা এলাকার সোবহান সওদাগরের বাড়ির মৃত আবদুর রশিদের ছেলে। তিনি উত্তর মাদার্শা কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
খবর পেয়ে পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন আবদুল হাকিম (৫৬) ও শফিকুল হাসান (৩৫)।
নিহত ইউসুফের ভাতিজা মো. কামাল অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চা-পান করতে পার্শ্ববর্তী গড়দুয়ারা ইউনিয়নের তুলাতল এলাকায় যান ইউসুফ। পরে তিনি বাড়ি ফেরার পথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হালদা নদীর পাড়ে পুরালিয়া স্লুইস গেইট এলাকায় পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তার প্রতিপক্ষের লোকজন মৃত আবদুল হামিদের দুই ছেলে রফিকুল হাসান (৪০) ও কামরুল হাসানের (৩৫) নেতৃত্বে ইউসুফের গতিরোধ করে লোহার রড দিয়ে তার শরীরে জখম ও চাপাতি দিয়ে তার হাতে কোপাতে শুরু করে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, এসময় ওই এলাকার আবদুল হাকিমের ছেলে মো. মহিউদ্দিন (২৬), মো. আলাউদ্দিন (৩০), আব্দুর রউফের ছেলে আবদুল হাকিম (৫৬), আবদুল মজিদ (৫০) এবং মৃত আবদুল হামিদের আরেক ছেলে শফিকুল হাসান (৩৫) মিলে ইউসুফকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করলে ওইদিন রাতে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে জানান নিহতের ছেলে শাহাজাহান।
শাহাজাহান সাংবাদিকদের আরও বলেন, আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্য তারা হামলা করে এবং এতে তারা সফলও হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে তদন্তপূর্বক ফাঁসির দাবি করছি।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম শেখ জয়নিউজকে জানান, বিষয়টি শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দোষির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দুইজনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যান্যদের আটকে অভিযান চলছে।