রাশিয়া ইউক্রেনের প্রধান প্রধান সব শহর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। একই সঙ্গে চীনের সহায়তা ছাড়াই ইউক্রেনে রাশিয়ার সব লক্ষ্য পূরণের জন্য যথেষ্ট সামরিক শক্তি মস্কোর আছে বলে পশ্চিমাদের সতর্ক করে দিয়েছে দেশটি। সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, বেসামরিক জনগণের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রুশ ফেডারেশনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের প্রধান প্রধান জনবহুল শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিচ্ছে না।
পেশকভ বলেন, ইউক্রেনের প্রধান কিছু শহর ইতোমধ্যে রুশ বাহিনী ঘিরে ফেলেছে। চীনের কাছে রাশিয়া সামরিক সরঞ্জামের সহায়তা চেয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের দাবির ব্যাপারে জানতে চাইলে ক্রেমলিনের এই মুখপাত্র বলেন, রাশিয়া কারও কাছে সামরিক সহায়তা চায়নি।
‘অভিযান চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাশিয়ার স্বতন্ত্র সম্ভাবনাময় সক্ষমতা রয়েছে। আমরা বলেছি, অভিযান পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে এবং যথাসময়ে ও সম্পূর্ণরূপে এটি সম্পন্ন করা হবে।’
তিনি বলেন, ক্রেমলিন বিশেষ সামরিক অভিযানের যে অগ্রগতি প্রকাশ করেছে, সেটি নিয়ে পুতিন একরকম হতাশ হয়েছেন বলে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি ইউক্রেনের শহরগুলোতে রাশিয়াকে অভিযানের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে উসকানি ছিল।
পেশকভ বলেন, ১৯৯৯ সালে যুগোস্লাভিয়ার রাজধানী বেলগ্রেড, মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ এবং আফগানিস্তান আগ্রাসনে বোমা হামলার মাধ্যমে মানুষের জীবনের প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা দেখিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই ধরনের কুশীলবদের পরামর্শের দরকার নেই। রাশিয়ান নেতৃত্বের সব পরিকল্পনা যথাসময়ে এবং সম্পূর্ণরূপে অর্জিত হবে।’
ক্রেমলিনের এই মুখপাত্র বলেন, অভিযানের শুরুতে প্রেসিডেন্ট পুতিন স্পষ্টভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে কিয়েভের মতো বড় শহরগুলোতে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কারণ তিনি ধারণা করেছেন, ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী বেসামরিকদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করবে।