শ্রীলঙ্কায় বাতিল করে দেওয়া হলো সব স্কুলের পরীক্ষা। না, করোনা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা নয়। এর পেছনে রয়েছে কাগজের ঘাটতি! শুনতে যতই অবিশ্বাস্য মনে হোক, ঘটনাটি নিখাদই বাস্তব।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আগামীকাল সোমবার (২১ মার্চ) থেকেই শ্রীলঙ্কার পশ্চিম প্রদেশ জুড়ে শুরু হওয়ার কথা ছিল পরীক্ষা। একেবারে শেষ মুহূর্তে সরকারি নির্দেশ, বাতিল হচ্ছে সব পরীক্ষা। আসলে ১৯৪৮ সালে মেলা স্বাধীনতার পর থেকে সাত দশকেরও বেশি সময়ে এই প্রথম এত ভয়ংকর অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে কলম্বো। পরিস্থিতি এমনই, কাগজ আমদানির পর্যাপ্ত ডলারই নেই রাজকোষে। আর তাই বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্ত প্রশাসনের।
২০১৪ সাল থেকেই ঋণের বোঝা বাড়তে শুরু করে কলম্বোর। সেই সঙ্গে ক্রমেই মুখ থুবড়ে পড়ে জিডিপি। ২০১৯ সালে তা পৌঁছে যায় ৪২.৮ শতাংশে। বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে এ বছর সব মিলিয়ে অন্তত ৭.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার শোধ করতেই হবে রাজাপক্ষে প্রশাসনকে। যা ক্রমেই অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। একদিকে মুদ্রাস্ফীতি। অন্যদিকে চীনের কাছে বিপুল ঋণের বোঝা। ফলে শ্রীলঙ্কার দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও ক্রমেই বাড়ছে।
প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্রের এ দুরবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কাকে একশো কোটি ডলারের ঋণের সুবিধা দিতে চলেছে নয়াদিল্লি। ইতোমধ্যেই সেজন্য ভারত সফরে এসেছেন শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষে।
সরকারের পক্ষে জানানো হয়েছে, ওই অর্থের বিনিময়ে আপাতত তাদের খাদ্যভাণ্ডার ও ওষুধের সরবরাহ পর্যাপ্ত রাখতে চাইছে কলম্বো। পরিস্থিতি সামলাতে বিভিন্ন জায়গায় পালা করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে রেশনে প্রয়োজনমতো গুঁড়ো দুধ, চিনি, চাল ইত্যাদি দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণে বিভিন্ন দোকানে দীর্ঘ লাইনও দেখা গেছে।
জয়নিউজ/পিডি