সৌদি আরবের জেদ্দায় একটি তেলের ডিপো এবং রিয়াদের বিভিন্ন স্থানে রকেট ও ড্রোনের সাহায্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর পাওয়া গেছে। হামলায় দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি আরামকোর ডিপোতে আগুন ধরে যায়। বিশাল এলাকাজুড়ে আগুনের লেলিহান শিখা আর কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। তবে এ ঘটনায় কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ২৫ মার্চ শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জেদ্দার বুরাইমান এলাকায় সৌদি আরামকোর ডিপো লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।
এই জেদ্দা শহরেই ২৭ মার্চ রবিবার থেকে ফর্মুলা ওয়ান রেস শুরুর কথা রয়েছে। ওই আয়োজন শুরুর দুই দিন আগে ভয়াবহ এই হামলার শিকার হলো শহরটি।
টুইটারে দেওয়া পোস্টে হুথি বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেন, আরামকোর স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র এবং রাবিগ শোধনাগারে ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া রিয়াদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতেও হামলা চালানো হয়েছে।
জিজান, নাজরান, রাস তানুরা ও রাবিগেও ড্রোন দিয়ে হামলা চালানোর দাবি করেছে হুথি বিদ্রোহীরা। তবে নাজরানকে লক্ষ্য করে ড্রোন থেকে নিক্ষেপ করা দুইটি বিস্ফোরক ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি করেছে রিয়াদ। সৌদি আরবের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে এটি ধ্বংসের দাবি করা হয়েছে।
সৌদি তেল স্থাপনায় হুথিদের হামলা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও ইয়েমেনের এই বিদ্রোহীদের হামলায় দেশটির তেল শিল্পকে নাজুক অবস্থায় পড়তে হয়েছিল।
শুক্রবারের হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসের আগে ইয়েমেনবাসীর জন্য প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ সংগ্রহের দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত। অথচ সেই সময়টিতে হুথিরা তাদের ধ্বংসাত্মক আচরণ এবং বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর বেপরোয়া সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: আল জাজিরা।