চট্টগ্রাম বন্দরে চালু হয়েছে ইলেকট্রিক ডেলিভারি সিস্টেম। এতে সময় বাঁচার পাশাপাশি অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (৬ এপ্রিল) থেকে নতুন এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
নতুন এ ব্যবস্থার ফলে একদিনের কাজ যেমন ৫ মিনিটে নেমে আসবে, তেমনি বন্ধ হবে ডেলিভারির ক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেন।
আগে যে কোনো পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকে এলসি খোলা থেকে শুরু করে ডেলিভারি পর্যন্ত প্রতিদিন ঘুষ লেনদেন হতো অহরহ। আবার জাল নথি তৈরি করে একজনের আমদানি করা পণ্য অন্যজনের ডেলিভারি নেওয়ার ঘটনাও ঘটে। কিন্তু এখন সবকিছুই অনলাইনে হওয়ায় ঘরে বসেই ফরম পূরণ করে বন্দর থেকে ডেলিভারি নেওয়া যাবে।
গত চার মাসে মাত্র ৬টি শিপিং এজেন্টকে দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চললেও মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) থেকে ৩৩৭টি প্রতিষ্ঠান ডেলিভারি অডারের কাজ অনলাইনেই সম্পন্ন করছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান গণমাধ্যমকে জানান, ইলেট্রনিক ডেলিভারি সিস্টেমের মাধ্যমে হাতে হাতে লেনদেনের দিন শেষ হয়ে গেছে। এখন থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে লেনদেন হবে। এতে অবৈধ লেনদেনের পরিমাণ শূন্যের কোটায় নেমে আসবে বলে আশা করছি।
আগে এসব ডেলিভারি অর্ডারের কাজে একদিনের বেশি সময় লাগলেও এখন তা মাত্র ৫ মিনিটে নেমে এসেছে।
নতুন এই পদ্ধতি প্রবর্তনের ফলে ডেলিভারি কেন্দ্রিক দুর্নীতি ও অনিয়মের মাত্রা শূন্যের কোটায় নেমে আসবে বলে আশা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ জানান, এই ডিজিটাল পদ্ধতির ফলে কাউকে অফিসে আসতে হবে না। অর্থাৎ দেখা-সাক্ষাৎ ছাড়াই বৈধভাবে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন হবে। এতে করে দুর্নীতির মাত্রা অনেকখানি কমে আসবে।
সূত্র: সময় নিউজ
জয়নিউজ/পিডি