ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়তে ইরাক থেকে যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম আনাচ্ছে রাশিয়া। ইরানের অস্ত্র চোরাচালান নেটওয়ার্কের সহায়তায় এগুলো আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
ইরাক থেকে যেসব অস্ত্র আনানো হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে রকেট চালিত গ্রেনেড, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল এবং ব্রাজিলের ডিজাইন করা রকেট লঞ্চার সিস্টেম। এছাড়া রাশিয়ার এস-৩০০ দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের মতো ইরানের তৈরি বাভার-৩৭৩ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা আনা হচ্ছে। এটি মস্কোকে উপহার হিসেবে দিয়েছে তেহরান।
২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর থেকে মার্কিন ও পশ্চিমা সেনাদের আতিথ্য করেছে ইরাক। বিদ্রোহীদের হামলার হাত থেকে বাগদাদ সরকারকে রক্ষা করার জন্য ইরাকের সেনাবাহিনী এবং বিশেষ বাহিনীর ইউনিটকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই দশকের যুদ্ধের পর ইরাকের কাছে রয়েছে বিপুল পরিমাণ মার্কিন অস্ত্র। এর বেশিরভাগই বৈধভাবে ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়াদের হাতে চলে গেছে। এই মিলিশিয়ারা ইরাকে মার্কিন উপস্থিতির বিরোধী।
সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, রাশিয়ার কাছে যেসব অস্ত্র এসেছে সেগুলো ইরান-সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়াদের কাছ থেকে এসেছে।
সবচেয়ে শক্তিশালী শিয়া মিলিশিয়া সংগঠন হাশদ আল-শাবির দখলে থাকা আরপিজি (রকেট চালিত গ্রেনেড) এবং অ্যান্টি ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ২৬ মার্চ সালমজা সীমান্ত দিয়ে ইরানে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ইরানি সামরিক বাহিনী এগুলো গ্রহণ করেছিল। পরে এসব অস্ত্র সমুদ্রপথে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিছে সীমান্ত চৌকি নিয়ন্ত্রণকারী মিলিশিয়া শাখার একজন কমান্ডার।