মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ- এমনটাই জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, এ প্রতিবেদন ও বাস্তবতা যোজন যোজন দূর। মানবাধিকার রিপোর্টের বিস্তারিত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ।
রোববার (১৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের কোনো হস্তক্ষেপ প্রত্যাশিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্ট নিয়ে হতাশ বাংলাদেশে। এ সময় তিনি আরো বলেন, শ্রম অধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে; তবে এর কোনো স্বীকৃতি মানবাধিকার প্রতিবেদনে নেই।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, শান্তি ও ন্যায় বিচারের ব্র্যান্ড র্যাব। সেখানে কোনো ব্যত্যয় হলে তা সংশোধন করা হবে। একে দুর্বল করে দেওয়ার কোনো চেষ্টা ভালোভাবে নেবে না বাংলাদেশ, এমনটিই জানান শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, জিএসপি সুবিধা ফেরত আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ কতটুকু এগিয়েছে, এমন প্রশ্নের ব্যাপারে তারা বলেছিলেন ৯৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে; আর ২ শতাংশ বাকি। কিন্তু আমরা যে এত পথ পাড়ি দিয়েছি, এত দূর এসেছি তার কোনো প্রতিফলন নেই এই প্রতিবেদনে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, যেসব সূত্র হতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, সেগুলো বেশ দুর্বল। আমরা নিকট অতীতে দেখেছি, এই সূত্রগুলো যারা পরিচালনা করে থাকেন তাদের সকলের রাজনৈতিক স্বার্থ ও উদ্দেশ্য বেশ পরিষ্কার। বাংলাদেশের কাছে যেসব রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব আছে, আমরা আশা করবো তারা বাংলাদেশের কাছ থেকেই সঠিক ইতিহাস জানবেন।
প্রসঙ্গত, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সারা বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাতে। এতে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও তুলে ধরা হয়। বলা হয়, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিচার বহির্ভূত হত্যা ও গুম খুনের সাথে জড়িত থাকলেও জবাবদিহিতার মুখোমুখি হয় না। হয় না সেসবের তদন্তও। উল্টো হয়রানি করা হয় ভুক্তভোগীর পরিবারকে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় এই মানবাধিকার রিপোর্টে।