৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এমপিওভুক্তির জটিলতা নিরসনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেসব পদে কেউ যোগদান করেননি, সেসব পদে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া যাবে।
তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগে সুপারিশপ্রাপ্ত নতুন শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিসহ বিদ্যমান কয়েকটি সমস্যা নিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রোববার (১৭ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বলেন, এমপিও নীতিমালায় সব বিভাগে সমন্বয় করা হবে।
যে কোনো বিভাগে ইনডেক্সধারী হলে সে অন্য বিভাগে গেলে নতুন করে এমপিও করতে হবে না।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান, সচিব ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর এ বৈঠক শুরু হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের জানুয়ারিতে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ৩৪ হাজার শিক্ষককে সুপারিশপত্র দেয় এনটিআরসিএ। এসব শিক্ষক নিজ নিজ স্কুলে যোগদান করার পর ফেব্রুয়ারি মাসে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন বাতিল করে দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়।
কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩৫ বছর।
তবে নতুন সিদ্ধান্তে শিক্ষকদের এমপিও নিয়ে জটিলতা দূর হয়েছে।
জয়নিউজ/পিডি