কোভিড মহামারির কারণে দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর নিউজিল্যান্ড আরও বেশি আন্তর্জাতিক পর্যটকের জন্য দেশটির সীমানা পুনরায় খুলে দিয়েছে।
পর্যটকেরা আজ সোমবার অকল্যান্ড বিমানবন্দরে নামলে সেখানে আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণা হয়। পর্যটকদের অনেকে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে অনেক দিন পর সরাসরি দেখা হওয়ায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
কোভিড টিকা নেওয়া থাকলে এবং করোনা নেগেটিভ সনদ থাকা সাপেক্ষে ৬০টির বেশি দেশ থেকে পর্যটক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের নাগরিকেরা অবশ্য গত মার্চ থেকে দেশ ও দেশের বাইরে যাতায়াত করতে পারছেন। এ ছাড়া অস্ট্রেলীয়দের এপ্রিল থেকে নিউজিল্যান্ডের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডে পা ফেলা এক মার্কিন ব্যক্তি বলছিলেন—তিনি তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সিনসিনাটি থেকে উড়ে এসেছেন। তিনি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভিসার জন্য আবেদন করার পর থেকে এ দিনটির অপেক্ষা করছিলেন।
ডেভিড বেনসন নামের ওই ব্যক্তি বলেন, ‘অবশেষে আমি আজ এখানে এসে পৌঁছেছি। আমি এর আগে কখনও এ দেশে আসিনি। আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো অনুভূতি এটাই।’
নিউজিল্যান্ড ২০২০ সালের মার্চে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। এমনকি বাইরে থেকে দেশে ফেরা নাগরিকদেরও নিউজিল্যান্ডের ঢোকার পরে কয়েক সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকার বাধ্যবাধকতা ছিল।
৫০ লাখ জনসংখ্যার নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত কোভিডে মারা গেছে ৭১৩ জন। অনেক দেশের তুলনায় কোভিডে কম মৃত্যুর পেছনে দেশটির সরকার তার সঙ্গনিরোধ কৌশল, সেইসঙ্গে দ্রুত কোভিড পরীক্ষা, আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থান শনাক্তকরণ ও লকডাউন নীতির কার্যকারিতা কথা বলছে।
তবে, কিছু নিউজিল্যান্ডবাসী সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ ও লকডাউনের বিরোধিতা করেছিল। এ ছাড়া সীমিত কোয়ারেন্টিন সুযোগের কারণে বিদেশে থাকা নাগরিকেরা লম্বা সময় ধরে দেশে প্রবেশ করতে না পারা নিয়েও অনেকের ক্ষোভ ছিল।
এন-কে