খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় ভোজ্য তেলের অবৈধ মজুদের গোডাউনে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এসময় সে গোডাউনে অবৈধভাবে ৫৭ হাজার লিটার সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুদ রাখায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। গোডাউনে অবৈধভাবে তেল মজুদ রাখা ব্যাবসায়ীর নাম ফজলুল করিম পাটোয়ারী। একই অপরাধে ওই বাজারের মেসার্স আলমগীর স্টোরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সোনাইপুল বাজারে গতকাল শুক্রবার আকস্মিক অভিযান চালিয়ে ওই দুই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে এ জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত বলেন, ‘গোপন সূত্রে অবৈধ মজুদের খবর পেয়ে রামগড় পৌরসভার সোনাইপুল বাজারের মেসার্স খাঁন ট্রেডার্স নামের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে প্রথমে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সোনাইপুল বাজারের বিভিন্ন স্থানে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক ফজলুল করিম পাটোয়ারীর চারটি গুদামের সন্ধান পাওয়া যায়। ওই চারটি গুদামে প্রায় ৫৭ হাজার লিটার সয়াবিন তেলের মজুদ পাওয়া যায়।’
খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত আরও জানান, ওই ব্যবসায়ীর কোনো ডিলিং লাইসেন্স নেই। ডিলিং লাইসেন্স ছাড়া ডিলারশিপ ব্যবসা অবৈধ। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফার জন্যই এভাবে বিপুল পরিমাণ তেল মজুদ করা হয়েছে। একই বাজারের মেসার্স আলমগীর স্টোর নামের আরেকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানেও অভিযান পারিচালনা করে অবৈধ মজুদ পাওয়া যায়।
ইউএনও বলেন, ‘ডিলিং লাইসেন্স ছাড়া ভোজ্য তেলের ডিলার হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করা এবং সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুদের অপরাধে অত্যাবশকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫৬ এর ৬ ধারায় বাজারের মেসার্স খাঁন ট্রেডার্সকে এক লাখ টাকা এবং মেসার্স আলমগীর স্টোরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. জসিম উদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
এন-কে