প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সরকার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর স্বজনরা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দেন। পাশাপাশি দুই পরিবারকেই ২০ লাখ টাকা করে সঞ্চয়পত্র অনুদান হিসেবে দেন।
গত রোববার জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। বুধবার চতুর্থদিনের মাথায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঢাকার পর চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলনের মুখে বৃহস্পতিবার দুপুরের আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান নিহত দিয়া খানম মিম ও রেজাউল করিম রাজুর স্বজনরা।
এর আগে মিমের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি সড়কে অব্যস্থাপনা ও নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, নৌ পরিবহনমন্ত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের নেতা শাজাহান খান। আর দুই মন্ত্রীকে মিমের বাবা সমস্যাগুলোর সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ জানান।
মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বুধবার (১ আগস্ট) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছার কথা জানান। এরমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমন্ত্রণ আসে।
একইসঙ্গে যোগাযোগ করা হয় মিমের সঙ্গে প্রাণ হারানো রেজাউল করিম রাজুর স্বজনদের সঙ্গে। পিতৃহারা রাজু পড়াশোনার জন্য ঢাকায় থাকতেন তার খালাত ভাইয়ের বাসায়।
মিমের খালা নাজমা বেগম বলেন, বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি গাড়ি এসে দিয়ার মা রোকসানা বেগম, বাবা জাহাঙ্গীর আলম, বড় বোন রোকেয়া খানম রিয়া ও ছোট ভাই পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিয়াদুল ইসলাম আরাফাতকে নিয়ে যায়।
জয়নিউজবিডি/আরসি