ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। ফলে অশনি শেষপর্যন্ত হয় সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হবে বা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস।
তবে বাংলাদেশ উপকূলে এ ঝড়ের আঘাত হানার আভাস নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১৭ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত (পুনঃ) ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্কতায় বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বা পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া এসব এলাকার নৌ-বন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
জয়নিউজ/পিডি