গত ৭২ ঘণ্টায় ভারতীয় তদন্ত সংস্থা-ইডি’র জেরার ধাক্কা কাটিয়ে নিজেকে অনেকটা সামলে নিয়েছেন সে দেশে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশে আর্থিক খাতে আলোচিত ব্যক্তি প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার। গণমাধ্যমকর্মীদের পি কে হালদার জানিয়েছেন, আর ভারতে নয়, এবার নিজের দেশ বাংলাদেশে ফিরে যেতে চান তিনি।
নিজেকে অনেকটাই স্বাভাবিক ও সংযত করে নিয়েছেন পি কে হালদার। আজ সোমবার সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে বাংলাদেশে ফেরার ইচ্ছার কথা জানিয়ে তিনি দাবি করেছেন—তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যা। তিনি বিভ্রান্ত হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর কলকাতা-সংলগ্ন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি কর্মকর্তাদের সামনে ম্যারাথন জেরা চলে তাঁর। কিন্ত, ভারতীয় আইন অনুযায়ী, হেফাজতে থাকা অবস্থায় প্রতি ২৪ ঘণ্টায় মেডিকেল চেকআপ করা বাধ্যতামূলক প্রত্যেক আসামির। সে অনুযায়ী, আজ প্রথম ধাপে পি কে হালদারের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া উত্তম মিত্র ও স্বপন মিত্র, দ্বিতীয় ধাপে প্রীতিশ হালদার ও প্রাণেশ হালদার এবং শেষ ধাপে পি কে হালদারকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায় ইডি।
হাসপাতাল তেকে ফেরার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের মুখে দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন পি কে হালদার। মাস্কের আড়ালে মুচকি হেসে বুঝিয়ে দেন, গত ৭২ ঘণ্টায় ইডির জেরার ধাক্কা কাটিয়ে অনেকটাই নিজেকে সামলে নিয়েছেন তিনি। এমনকি শারিরীক ও মানসিকভাবে তিনি যে ধাক্কা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন, তাও স্পষ্ট।
বাংলাদেশে ৩৬ মামলায় পি কে হালদার ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এন-কে