ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে, ফিলিস্তিনিদের আত্ম-নিয়ন্ত্রণাধিকারের ন্যায্য দাবিকে স্তব্ধ করে দিতেই ইসরাইলি দখলদার বাহিনী আবু আকলেহের ওপর এ হামলা চালায়। তিনি ওই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে সেখানে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধ ও সংঘটিত ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করছিলেন। এই ঘটনা সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর ইসরাইলের সহিংসতার উদাহরণ।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই ঘটনা আন্তর্জাতিক আইন ও নীতি-আদর্শের সুস্পষ্ট লংঘন। আর এ জন্যই অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
‘হয়রানি ছাড়াই কোনো মানুষের জন্য শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে শোকপ্রকাশ ও আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনার অনুমোদন দেওয়া ন্যূনতম মানবিক মূল্যবোধ’ উল্লেখ করে পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃবিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ পূর্ব জেরুজালেমে আবু আকলেহের শেষকৃত্য শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের ওপর ইসরাইলি পুলিশের শক্তিপ্রদর্শন ও অসম্মানজনক অশোভন আচরণের নিন্দা জানাচ্ছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া এবং ওপিটিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত।’
গত বুধবার ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, সেদেশের পশ্চিমতীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলের অভিযানের খবর সংগ্রহ করছিলেন শিরীন। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আবু আকলেহের হত্যাকাণ্ডে ফিলিস্তিন ও আরব বিশ্বে শোকের ছায়া নেমে আসে। ৫১ বছর বয়সী আল জাজিরা আরবি টেলিভিশনের একজন প্রবীণ সংবাদদাতা ছিলেন। আল জাজিরা চালু হওয়ার মাত্র এক বছর পরে ১৯৯৭ সালে তিনি সেখানে যোগদান করেন।
এন-কে