লম্বা সময় ধরে সাদা পোশাকে সেঞ্চুরি খরা চলছিল তামিম ইকবালের। ২০১৯ সালের পর কয়েকবার ৯০-এর ঘরে গিয়েও শতরানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। তবে এবার সুযোগ হাতছাড়া করলেন না তিনি। নিজের ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে ক্যারিয়ারের দশম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
সাগরিকায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমেই বেশ সাবলীল ব্যাট করছেন তামিম। ছন্দ ধরে রেখে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দোকে পুল করে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৯৫ থেকে ৯৯-এর ঘরে যান তামিম। এর পরের বল লেগ সাইডে পাঠিয়ে এক রান নিয়ে পেয়ে যান শতকের দেখা। শতক হাঁকাতে বাঁহাতি ওপেনারের লেগেছে ১৬২ বল। এর মধ্যে হাঁকিয়েছেন ১২টি বাউন্ডারি।
সবশেষ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম। তিন বছর পর এবার নিজের ঘরের মাঠ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পেলেন শতকের দেখা।
আজ সোমবার ৩৯ রানে দিন শুরু করে দিনের পঞ্চম ওভারেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন তামিম। অফ স্পিনার রমেশ মেন্ডিসকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পঞ্চাশের দেখা পেয়ে যান বাঁহাতি ওপেনার। ক্যারিয়ারের ৩২তম টেস্ট হাফসেঞ্চুরি করতে তামিম খেললেন ৭৩ বল। এরপর দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে পেয়ে গেলেন সেঞ্চুরির দেখা।
তামিমের সঙ্গে জুটি বেধে আজ জয়ও পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির দেখা। আসিথা ফার্নান্দোর বল লেগ সাইডে পাঠিয়ে দুই রান নিয়ে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন জয়। হাফসেঞ্চুরি পেতে জয় খেলেন ১১০ বল। পাঁচ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। দুই ওপেনারের ব্যাটে প্রথম সেশন দারুণভাবে পার করে বাংলাদেশ। তবে লাঞ্চের পর বিদায় নিয়েছেন জয়। আর টিকে থেকে তামিম তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ৩৯৭ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা ম্যাথুজ খেলেছেন ১৯৯ রানের ইনিংস। ৩৯৭ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৯টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা দিয়ে।
এন-কে