চলতি বছরের ২১ মার্চ বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ওই উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় মোট ১৩২ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে।
সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে সম্প্রতি চীনের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই উড়োজাহাজকে ইচ্ছা করেই ‘ক্র্যাশ’ (বিধ্বস্ত) করানো হয়েছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। ওই ভয়াবহ ঘটনায় উড়োজাহাজে থাকা ১২৩ যাত্রী এবং নয় জন ক্রু’ নিহত হয়। এ খবর সামনে আসার পর থেকেই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তবে, এখনও চীনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে খবর।
ব্ল্যাক বক্স পরীক্ষায় মিলেছে নতুন তথ্য
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে, উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা একটি ব্ল্যাক বক্স পরীক্ষা করে বেশ কিছু তথ্য জানা গেছে। আর তা অনুযায়ী, ককপিটে থাকা কেউ ইচ্ছা করেই ওই উড়োজাহাজটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। এ ছাড়া মার্কিন কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে তদন্ত করে। আর, সে তদন্ত প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত উড়োজাহাজটিতে কোনো প্রযুক্তিগত সমস্যার সংকেত পাওয়া যায়নি। এর পরেই ক্রু ও চালকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর।
ইচ্ছাকৃতভাবে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত করা হয়?
দ্য ওয়াল স্ট্রিটের প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে—উড়োজাহাজটির ককপিটে থাকা কোনো সন্দেহভাজন ইচ্ছা করে উড়োজাহাজটিকে বিধ্বস্ত করিয়েছে। এ খবরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তবে, মার্কিন জাতীয় পরিবহণ নিরাপত্তা বোর্ড এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি।
গত ২১ মার্চ কুমিং থেকে গুয়াংজু যাওয়ার পথে পাহাড়ি এলাকায় ভেঙে পড়ে বোয়িং ৭৩৭-৮০০। নিচে পড়ার সময়ে উড়োজাহাজটিতে ভয়ংকর আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। ওই ঘটনাকে ভয়াবহ বলে আখ্যা দেয় চীন। এবং গত কয়েক শতকের মধ্যে সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা বলেও দাবি করা হয় চীনের পক্ষ থেকে। এবার ওই দুর্ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
এন-কে