ইউক্রেনের বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন—রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের ওপর আক্রমণ জোরদার করেছে। তাঁদের দাবি—রাশিয়া কামান, রকেট লঞ্চার ও উড়োজাহাজ ব্যবহার করে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে আঘাত হানছে, আবাসিক এলাকায় বাড়িঘর ধ্বংস করেছে এবং বেশ কয়েক জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দনবাস অঞ্চলের অবস্থাকে ‘নারকীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক এই দনবাসের মধ্যে অংশ।
জেলেনস্কি বলছেন—রাশিয়ার আক্রমণে দনবাস অঞ্চলটি ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়ে গেছে। তিনি অভিযোগ করেন—রুশ বাহিনী আরও বেশি ইউক্রেনীয়দের হত্যা করা এবং যতটা সম্ভব ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে।
যুদ্ধের প্রথম দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সেনারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখল করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে দনবাস এখন রাশিয়ার নিশানায় রয়েছে।
নতুন করে জি-সেভেনের সমর্থন
এদিকে, গতকাল শুক্রবার জি-সেভেন জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জোটভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীরা রাশিয়ার আগ্রাসনে ইউক্রেনের আর্থিক সহায়তার জন্য প্রায় দুই কোটি ডলার দেওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জি-সেভেন বলেছে, এ তহবিল ইউক্রেনকে ‘তার অর্থায়নের ঘাটতি লাঘব করবে এবং ইউক্রেনীয় জনগণের জন্য মৌলিক পরিষেবা সরবরাহ নিশ্চিত করবে।’
জি-সেভেন বিশ্বের কয়েকটি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের জোট। এর সদস্যেরা হলো—কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
এন-কে