ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করতে পারলেও বাংলাদেশের র্যাঙ্কিংয়ের পরিবর্তন হবে না। রেটিং পয়েন্টেরও বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না। তবে জিম্বাবুয়েকে ৩-০ ব্যবধানে হারাতে পারলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট বাড়বে এক। ২১ অক্টোবর থেকে শুরু মিরপুর-চট্টগ্রাম মিলে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
বর্তমানে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ আর জিম্বাবুয়ের অবস্থান ১১ নম্বরে। যদি জিম্বাবুয়েকে তিনটি ম্যাচেই হারাতে পারে টাইগাররা তাহলে রেটিং পয়েন্ট ৯২ থেকে ৯৩ হবে। কিন্তু জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে বাংলাদেশ হারাবে ৮ রেটিং পয়েন্ট। জিম্বাবুয়ে একটি ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশ ৩ রেটিং পয়েন্ট হারাবে। দুটি ম্যাচ হারলে রেটিং পয়েন্ট কাটা পড়বে পাঁচটি! প্রথম দুই ওয়ানডের জন্য একই রেটিং পয়েন্ট কমবে বাংলাদেশ। শেষ ওয়ানডে হারলে কমবে ২ রেটিং পয়েন্ট। সুতরাং সিরিজটি আর যাই হোক কোনোভাবেই হালকা করে দেখার সুযোগ নেই টাইগারদের সামনে। তাই পয়েন্ট নষ্ট না করার জন্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবগুলো ম্যাচই জয় লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশের।
জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক পার্থক্য। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে ৬৯ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৪১টি, জিম্বাবুয়ের জয় ২৮টি। সবশেষ ১০ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো ম্যাচ জিতেনি জিম্বাবুয়ে। সবশেষ জিম্বাবুয়ে জিতেছিল ২০১৩ সালের ৮ মে বুলাওয়েতে। তবে শেষ ১০ ম্যাচের প্রতিটি বাংলাদেশের ডেরায় এসে হেরেছে জিম্বাবুয়ে।
২১ অক্টোবর মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ও সফরকারীরা। সিরিজের শেষ দুটি ওয়ানডে গড়াবে ২৪ ও ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। প্রতিটি ওয়ানডে ম্যাচই বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৯২, জিম্বাবুয়ের ৫৩
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের রেটিং সমীকরণ:
৩-০ জিতলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৯৩, জিম্বাবুয়ে ৫২
২-১ জিতলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৯০, জিম্বাবুয়ে ৫৪
২-১ হারলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৮৭, জিম্বাবুয়ে ৫৬
৩-০ হারলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৮৫, জিম্বাবুয়ে ৫৮