চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নস্থ কেশবনপুরের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনার ৪দিন পর ধ্বংসাবশেষ থেকে নতুন করে একে একে আরও দুজনের মরদেহ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে বিস্ফোরণে পুড়ে যাওয়া কন্টেইনার অপসারণের সময় মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. আলাউদ্দীন তালুকদার।
তিনি বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিএম ডিপোর একটি অংশে কাছাকাছি দুই জায়গা থেকে কিছু দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। পুড়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা যাচ্ছে না মরদেহের পরিচয়।
ফায়ার সার্ভিস তা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে আমি বুঝে নিয়েছি। চিকিৎসকরা দেখে জানিয়েছে দেহাবশেষগুলো দুজন ব্যক্তির।
উল্লেখ্য, এর আগে শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পর ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় প্রথম দুদিনে ৯ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ৪১ জনের মৃতের খবর পাওয়া যায়।
এরপর মঙ্গলবার (৭ জুন) ঘটনাস্থল থেকে আরও দুইটি মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। তাদের মধ্যে একজন ফায়ার সার্ভিসেরই কর্মী এবং অন্যজন সিকিউরিটি গার্ড হতে পারে বলে ধারণা করে ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে আজ সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি থাকা মাসুদ রানা নামে একজনের মারা যাওয়ার খবর আসে। এই নিয়ে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে।
জেএন/টিটি