২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপনের জন্য মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুর ১২টার পর জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার একটি বিশেষ বৈঠক হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে অর্থমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা অংশ নেন।
মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে নতুন বাজেট অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তাৎক্ষণিক নতুন বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য সম্মতিসূচক অনুমোদন দেবেন। এদিন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদও সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতির দফতরে অফিস করবেন বলে জানা গেছে।
এবার দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট ঘোষণা হতে যাচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতির অস্থির পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতির মতো চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন। এটি দেশের ৫১তম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম বাজেট।
বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এবারের বাজেটে প্রাধিকার পাবে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে এবারের বাজেটি প্রস্তুত হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে। এবারের বাজেটে সঙ্গত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশকিছু খাত।
বৈশ্বিক ঝুঁকি কাটিয়ে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেখে জনজীবনে স্বস্তি ফেরানো এবারের বাজেটের প্রধানতম লক্ষ্য। ইতোমধ্যে সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থাকবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
জয়নিউজ/পিডি