ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বিষয়টি মাথায় রেখে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের মুনাফা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
তবে ১৫ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সীমাভেদে ১ থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফার হার কমতে পারে বলে বাজেট ঘোষণায় ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এই খাত থেকে আসছে অর্থবছরে সরকার ৩৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। গত বছরও সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার ওপরে বিনিয়োগের মুনাফার হার ২ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছিল।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার ওপরে বিনিয়োগের মুনাফার হার ২ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়। তবে ১৫ লাখ টাকার নিচে মুনাফার হার অপরিবর্তিত থাকে।
ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে ১১.২৮ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়। আর যাঁরা সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করেন তাঁরা মেয়াদ শেষে মুনাফা পান ১০.৩০ শতাংশ হারে। ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ থাকলে মুনাফার হার ৯.৩০ শতাংশ।
আর তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১.০৪ শতাংশ। ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার ১০ শতাংশ। সঞ্চয়পত্রে যাঁদের বিনিয়োগ ৩০ লাখ টাকার বেশি মেয়াদ শেষে তাঁদের মুনাফার হার ৯ শতাংশ।
বর্তমানে পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে ১১.৭৬ শতাংশ হারে মুনাফা দেওয়া হচ্ছে। সঞ্চয়পত্রে যাঁদের বিনিয়োগ ১৫ লাখ টাকার বেশি তাঁরা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাচ্ছেন ১০.৭৫ শতাংশ। ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ থাকলে এই হার ৯.৭৫।
দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় পরিবার সঞ্চয়পত্র। পাঁচ বছর মেয়াদি এই সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১.৫২ শতাংশ। এই সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার কমিয়ে করা হয়েছে ১০.৫০ শতাংশ। ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ হার ৯.৫০ শতাংশ।
ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে তিন বছর মেয়াদি হিসাবে বর্তমানে মুনাফা ১১.২৮ শতাংশ। এখন ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার হবে ১০.৩০ শতাংশ। ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে হবে ৯.৩০ শতাংশ। ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসাবে বর্তমানে মুনাফার হার সাড়ে ৭ শতাংশ। এতেও কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
জয়নিউজ/পিডি