পাকিস্তানের মাটিতে তিন ম্যাচের সবকটিতে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সিরিজে ১৯৯ রান করে সেরা হন পাকিস্তানের ইমাম উল হক।
মুলতানে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খোয়ায় উইন্ডিজ। রবিবার নিয়ম রক্ষার তৃতীয় ওয়ানডেতেও হেরেছে ৫৩ রানে। এই ধবল ধোলাইয়ের দুঃসহ স্মৃতি নিয়েই ঘরের মাঠে বাংলাদেশের মুখোমুখি হতে হবে ক্যারিবীয়দের।
তৃতয়ি ম্যাচে খারাপ আবহাওয়ার কারণে ৪৮ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ২৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবীয়রা ৩৭.২ ওভারেই গুটিয়ে যায় ২১৬ রান তুলতেই।
পাকিস্তানের ছুড়ে দেয়া ওই লক্ষ্য ছুঁতে নেমে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ (৩৭) রানের ইনিংস খেলেন আকিল হোসেইন। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে কেসি কার্টির ব্যাট থেকে।
পাকিস্তানের পক্ষে একাই ৪টি উইকেট নেন শাদাব খান। ২টি করে উইকেট নেন হাসান আলী ও মোহাম্মদ নওয়াজ। ১টি করে উইকেট নেন অভিষিক্ত শাহনেওয়াজ দাহানি এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা দুর্দান্ত হলেও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়বার বল করতে এসে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপকে ওলটপালট করে দেন নিকোলাস পুরান।
মূলত ব্যাটার ও উইকেটের পিছনে কিপিং করতেই দেখা যায় তাকে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে এদিন বল হাতে নিয়েই রীতিমত চমক দেখান রঙ্গিন পোশাকের এই অধিনায়ক!
১০ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে তুলে নেন ফখর জামান (৩৫), ইমাম উল-হক (৬২), মোহাম্মদ রিজওয়ান (১১) এবং মোহাম্মদ হারিসকে (০)। শেষ দিকে শাদাব খানের ৮৬ (৭৮) রানে ভর করে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান তোলে পাকিস্তান।
আগের ৯৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ওয়ানডেতে কেবল একবারই ৩টি বল করেছিলেন তিনি। এবার শততম ম্যাচে অফ স্পিনে ১০ ওভার বোলিং করে ৪৮ রানে নেন ৪টি উইকেট!
এছাড়া উইন্ডিজের পক্ষে ২টি উইকেট নেন কিমো পল ও ১টি করে উইকেট নেন জাইডেন সিলস, হেইডেন ওয়ালশ ও আকিল হোসেইন।
ব্যাট হাতে ৮৬ রান ও বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন শাদাব খান।
জেএন/টিটি