মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্ত থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা প্রান্ত পর্যন্ত পুরো পদ্মা সেতুতে ঝলমল করে জ্বলে উঠে আলো।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে সেতুতে বিদ্যুৎ-সংযোগের মাধ্যমে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানোর মাধ্যমে আলোকিত হয় বহুল কাঙ্খিত এ সেতুর।
বাতিগুলো মধ্যে মাওয়া প্রান্তের সাব স্টেশন থেকে পিয়ার ১ থেকে ২১ পর্যন্ত এবং জাজিরা প্রান্তে সাব স্টেশন থেকে জ্বালানো হয় ২১ থেকে ৪২ নম্বর পিয়ার পর্যন্ত। দুই ভায়াডাক্টসহ দু’সাব স্টেশন থেকে বাতিগুলো জ্বালানো হয়।
এদিন বিকালে জাজিরা প্রান্তের বিদ্যুতের সাব স্টেশন থেকে প্রথমে সেতুর ২১ নম্বর পিয়ার থেকে ৪২ নম্বর পিয়ার পর্যন্ত ভায়াডাক্টসহ সবগুলো বাতি পরীক্ষামূলক জ্বালানো হয়।
এরপরই দু’সাব স্টেশন থেকে সেতু সবগুলো ল্যাম্পপোস্টের বাতি একযোগে সফল ভাবে জ্বালানো হয়। এই সময় পুরো পদ্মা সেতুসহ এলাকা আলোকিত হয়ে যায়। এভাবেই দু’প্রান্তের দু’সাব স্টেশন থেকে পদ্মা সেতুতে আলো জ্বলবে।
এর আগে সোমবার বিকালে মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি প্রথম সফল ভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করে। পদ্মা সেতুতে মাওয়া প্রান্তের সাব স্টেশন থেকেই সেতুর অর্ধেক বাতি পরীক্ষা মূলক জ্বালানো হয়।
পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের বিদ্যুতের দু’সাব স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুকে আলোকিত করবে। এছাড়া সেতুর উভয় প্রান্তের সংযোগ সড়কে ২০০টি ল্যাম্পপোস্টের বাতি রয়েছে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, পদ্মা সেতুর দু’পারের দু’সাব স্টেশনের মাধ্যমে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সবগুলো বাতি সফল ভাবে জ্বালানো হয়েছে।
মূল সেতুতে ৩২৮ টি ও দুই পাশের ৮৭টি সর্বমোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টের বাতি মঙ্গলবার সফল ভাবে পরীক্ষামূলক জ্বালানো শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এখন সেতুর দুই প্রান্তের সংযোগ সড়কের ল্যাম্পপোস্টের বাতিগুলো পর্যায়ক্রমে একই ভাবে পরীক্ষা মূলক জ্বালানো হবে।
জেএন/টিটি