প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বে একমাত্র দেশ যারা নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে এবং কাজ করছে। আমরা চাই, বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে, সেটাই করবো।
আজ বুধবার (১৫ জুন) সকালে গণভবনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ দেশ ও মানুষের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ পরিবেশের কথা ভেবে, পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষকলীগ গণভবন চত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও ‘সেরা বৃক্ষ রোপণকারী ২০২১’ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সকাল সাড়ে ৯টায় গণভবন চত্বরে ছাতিম, সফেদা ও হরিতকির চারা রোপণ করে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এসময় তিনি সবাইকে বৃক্ষরোপণের আহ্বান জানান।
সবাইকে বৃক্ষরোপণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু কৃষকলীগ নয় আমি আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে এই বৃক্ষরোপণের আহ্বান জানাচ্ছি। সারাদেশে এই কর্মসূচি চালু রাখতে হবে। এতে করে একদিকে যেমন আমাদের পরিবেশ রক্ষা হবে। অন্যদিকে ফল খেতে পারবো।
আবার ঔষধ হিসেবেও আমাদের কাজে লাগবে। কাজেই সবাই একটি করে ফলজ, বনজ ও ভেষজ এই তিনটি গাছ অন্ততপক্ষে নিজের আঙ্গিনায় লাগাবেন। সেইসঙ্গে যাদের বাড়ির ছাদ আছে, সেখানেও আপনারা পারতপক্ষে ছাদে বাগান করার চেষ্টা করবেন। সেইসঙ্গে সরকারি যত অফিস-আদালত আছে, সবগুলোর ছাদে বাগান যেন করা হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
আবার আপনাদের প্রত্যেকের বাড়িতে তো বারান্দা আছে বিশেষ করে শহর এলাকায় সেখানেও যেন অন্ততপক্ষে একটি করে গাছ লাগানো যায়, সে ব্যবস্থাটা আপনারা নিবেন। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্যটা রক্ষা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮৫ সাল থেকে আষাঢ় মাসের প্রথমদিন থেকে তিন মাস ব্যাপকভাবে আমরা বৃক্ষেরোপণ করে আসছি। কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠন সারাদেশে এই কর্মসূচি পালন করে।
জাতির পিতার নির্দেশে কক্সবাজার উপকূলে ঝাউবন গড়ে তোলা হয়। ১৯৯৭ সালে সুন্দরবন রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ায় তা বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পায়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে, দলীয় ও সরকারি উদ্যোগে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ঝাউবন স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতার উদ্যোগে রোপণ করা হয়।
‘আমি ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ কৃষক লীগের তৎকালীন নেতৃবৃন্দকে বৃক্ষরোপণের জন্য অনুপ্রাণিত করি। ১৯৮৫ থেকে অদ্যবধি আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র এই তিন মাস সারাদেশে ফলজ, বনজ ও ভেষজ এই তিন প্রজাতির গাছ লাগানোর কর্মসূচি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে আসছি।’
এ সময় কৃষক লীগের সভাপতি সমীল চন্দ্র, সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ বিটু উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/টিটি