লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্যাহকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাত জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে আসামিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এই রায় দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বলেন, আদালতে আসামিরা দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। রায়ের সময় আসামি মোঃ সুমন উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন মোঃ মুরাদ, জাকির হোসেন, মোঃ কামাল, আলমগীর হোসেন, মোঃ রিপন ও মোঃ নিশান। তারা সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর ও নন্দীগ্রামের বাসিন্দা।
এজাহার সূত্র জানায়, আহসান উল্যাহ সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার হাবুল্লার ফলের দোকানে কাজ করতেন। ২০১৪ সালের ২৫ জুলাই দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দোকান থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথা ও পিঠে আঘাত করেন। পরে চিৎকার করলে পেট ও পিঠে গুলি করেন তারা।
পরে আহসান উল্যাহর ছেলে ও স্ত্রীসহ স্বজনরা ঘটনাস্থল গেলে আসামিরা পালিয়ে যান। কিন্তু কাউকেই তারা চিনতে পারেননি। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা আহসান উল্যাহর পাশে আসামিদের একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।
তাৎক্ষণিক আহসান উল্যাহকে উদ্ধার করে পোদ্দারবাজার জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় পরদিন ২৬ জুলাই তার ছেলে মোঃ আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ২৬ জুন সাত জনের বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সাত আসামিকে যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ডের রায় দেন বিচারক।
জেএন/মোরশেদ