দুর্গা উমা ভগবতী
ন’বার এলেও নয় মা ক্ষতি
নারায়ণী লক্ষ্মী রমা
দোষ হলে মা করিস ক্ষমা।
পদ্মাসনা সনা তুমি, সবার যেন হয় মাধুর
মহাসপ্তমীর পূর্ণ লগ্নে , সবাইকে জানায় শুভসপ্তমী।।
নগর মেতেছে পুজোর আমেজে। বর্ণিল আলোয় সজ্জিত নগরের সব মণ্ডপ। তবে আলোর এ বাহারি খেলায় বরাবরই চমক দেয় কুসুম কুমারী স্কুল মণ্ডপ।
প্রতিবছর পুজোয় নতুনত্ব আনার চেষ্টা করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। কুসুম কুমারী স্কুল চসিকের এ আয়োজনে চমক থাকবে এবারও।
এই মণ্ডপে এবার চসিকের থিম ‘আলোর আয়োজন’। বিভিন্ন ছোট-বড় প্লাস্টিকের গ্লাস দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো মণ্ডপ।
অন্ধকার দূর করতে প্রয়োজন আলোর। আর মানুষের মনের অন্ধকার দূর করতেই ধরণীতে মায়ের আগমন। এ থিমেই সেজেছে কুসুম কুমারী স্কুল মণ্ডপ। আলোর ঝলকানি থাকবে মণ্ডপজুড়ে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চসিকের এবারের পূজার বাজেট ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৮ লাখ টাকা গরিবদের, ২ লাখ টাকা মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি এবং দেড় লাখ টাকা মৃত শ্রমিকদের পরিবারকে দেওয়া হবে।
সিটি করপোরেশন পূজা উদ্যাপন পরিষদ সভাপতি শৈবাল দাশ সুমন জয়নিউজকে বলেন, প্রতিবছর মা আমাদের মঙ্গলের জন্য পৃথিবীতে আসেন। অশুভ শক্তিকে বিনাশ এবং শুভ শক্তিকে রক্ষার জন্যই মায়ের আগমন।
তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারো আমরা ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প, বস্ত্র বিতরণ, প্রসাদ বিতরণসহ নানা আয়োজন করেছি।প্রতিদিন এখানে প্রায় ৫শ’ সেবককে বস্ত্র বিতরণ করা হবে। একইসঙ্গে তিনদিন ধরে প্রায় ২ হাজার মানুষের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
কুসুম কুমারী স্কুলের পূজার বিশেষত্ব হলো, এখানে প্রতিবছর স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রীরা আসে। সন্ধ্যায় এখানে তারা আরতি করে। এমন জমজমাট আরতি নগরের খুব কম পূজামণ্ডপেই দেখা যায়।
এই পুজোয় আলোর মেলায় কুসুম কুমারী স্কুলের ছাত্রীদের আরতি দেখার জন্য সবাই মুখিয়ে আছেন বলে জানান আয়োজকরা।
জয়নিউজ/আরসি