কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের পৃথক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন)।
উখিয়া ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। পরে এ ক্যাম্প থেকে একটি অত্যাধুনিক রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলির পর এটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক শিহাব কায়সার খান। তবে এ সময় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
এসপি শিহাব কায়সার খান জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-এম/১৭,ক্যাম্প-১৮ ক্যাম্প বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেখানে একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে ব্যাগের ভেতরে অস্ত্র ও বুলেট পাওয়া যায়। জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, অস্ত্রটি আলোচিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মাস্টার নবী হোসেন গ্রুপের। ধারাণা করা হচ্ছে বড় ধরনের নাশকতার জন্য অস্ত্রটি ক্যাম্পে আনা হয়েছে।
একই ধরনের আরও অস্ত্র ক্যাম্পে আনা হয়েছে বলে ধারণা করছে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী। ‘এম ১৬টি’ রাইফেল যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে বলে জানানো হয়।
রোহিঙ্গাদের একটি সূত্র দাবি করেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের বড় দুটি সশস্ত্র গ্রুপ কথিত আরসা ও মাস্টার নবী হোসেন গ্রুপের সদস্যরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে সম্প্রতি দুটি গ্রুপই ক্যাম্পে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করে চলছে।
গত এক সপ্তাহে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একজন মাঝিসহ অন্তত ৩ জনের খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া হামলা ও পাল্টা হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন অনেকেই।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, ক্যাম্পে যেকোনো নাশকতা ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কাজ করছে তারা। অভিযানের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে টেকনাফের আরেকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক অভিযানে দেশে তৈরি চারটি বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করার তথ্য দিয়েছেন ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন)।
জেএন/টিটি