বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নে আল্লামা অছিউর রহমান হেফজখানা ও এতিমখানার নাজেরা বিভাগের ছাত্র ইফতেখার মালেকুল মাশফি (৭) হত্যাকাণ্ডের রহস্য প্রায় সাড়ে ৩ মাস পর উদঘাটিত হয়েছে।
একই মাদ্রাসার ১৫ বছর বয়সী হেফজ বিভাগের দুই ছাত্রই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে পিবিআই।
আজ রোববার (১৯ জুন) সকালে পিবিআইয়ের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও কম্বল উদ্ধার করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পিবিআই কর্মকর্তা নাজমুল আহসান বলেন, আমাদের কাছে তদন্তভার অর্পণ হওয়ার পর সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে আমরা তদন্ত কার্যক্রম চালায়।
এরই ধারাবাহিকতায় আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও পিবিআইয়ের নিজস্ব পন্থায় আমরা দুইজন মাদ্রাসা ছাত্র শনাক্ত করি। তারা ছিল ১৫ বছর বয়সী দুই শিশু। তারা ঘটনার প্রত্যক্ষ বিবরণ দেয়।
তাদের জবাববন্দির আলোকে আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই শিশুকে গ্রেপ্তার করি। তাদের দেওয়া তথ্য মতে-আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, কম্বল ও আনুসঙ্গিক আলামত উদ্ধার করি।
তিনি বলেন, ভিকটিমের বয়স ছিল ৭ বছর আর ঘটনায় জড়িতরা ছিল ১৫ বছরের। ভিকটিমের সঙ্গে ঘটনায় জড়িত দুইজনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। বিশেষ করে খাবার পরিবেশন, খাবার গ্রহণ, অন্যান্য জীবন প্রণালি সংক্রান্ত ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল। সে বিরোধের জেরে মাশফিকে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ চরণদ্বীপ আল্লামা অছিউর রহমান হেফজখানা ও এতিমখানার নাজেরা বিভাগের ছাত্র ইফতেখার মালেকুল মাশফিকে জবাই করে হত্যা করা হয়।
জেএন/এমআর