বৃষ্টি হলেই চট্টগ্রাম নগরীর নিম্নাঞ্চল এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। একটু টানা বৃষ্টির হলে দুর্ভোগ আরো চরম আকার ধারণ করে। জমে যায় পানি।
রবিবার রাতের বৃষ্টিতে অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। আবার সোমবার সকালে বৃষ্টি একটু কম হলেও সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়ির সামনেসহ নগরীর নিম্নাঞ্চলে এখনও আছে হাঁটুপানি।
আর কিছু কিছু এলাকায় পানি নেমে গেলেও এখনো অনেক জায়গায় কাঁদা জমে রয়েছে। এসব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
এর আগে গত দুদিনের বৃষ্টিতে নগরে বহদ্দারহাট ও মুরাদপুরে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতার প্রভাবে শুক্রবার রাতে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার এলাকাজুড়ে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।
বহদ্দারহাটের জলাবদ্ধতায় চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িও পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। তাছাড়া গেল দুদিন ধরে নগরীর কেবি আমান আলি রোড, বাদুরতলা, কাপাসগোলা, হালিশহরের বিভিন্ন অংশ, ফইল্যাতলি বাজার, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট, মুরাদপুর, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়ার কয়েকটি অংশ ও চকবাজারে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সোমবার সকালেও এসব অনেক এলাকায় পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। দুপুরের পর নামতে শুরু করে।
এদিকে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন সড়কের বেহাল দশার কারণে রাস্তায় বের হলেই ভোগান্তিতে পড়তে হয় এলাকাবাসীকে। বৃষ্টিতে সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়।
খানাখন্দের কারণে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। পানিতে খানাখন্দগুলো দেখতে না পাওয়ায় কখনও যাত্রীসহ রিকশা ও মোটরসাইকেল পড়ে যাচ্ছে। আহত হচ্ছেন অনেকে। সড়কে যান চলাচলের গতি থাকে সব সময়ই মন্থর, ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনাও।
কাপাসগোলা এলাকার সড়কের পাশে থাকা নুরনবী নামে এক ব্যবসায়ি আক্ষেপ করে বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে যায়। দোকানেও পানি চলে আসে। পানি জমে থাকায় ব্যবসা করতেও সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে বৃষ্টি এলেই এলাকার বাসিন্দাদের গুনতে হয় বাড়তি রিকশা ভাড়া। নিরুপায় হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যাতায়াত করতে হয় মানুষকে। কাউকে কাউকে হাঁটুজলে হেঁটেই অফিস ও কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ চান এলাকাবাসী।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিত চৌধুরী জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২৪১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
জেএন/টিটি