মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক সচিব, কূটনীতিক ও কলাম লেখক মহিউদ্দিন আহমদ আর নেই। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তরার বাসায় তার মৃত্যু হয় (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মহিউদ্দিন আহমদের ভাই মুনিরুদ্দিন আহমদ তার ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী বিলকিস আহমদ এবং একমাত্র কন্যা অরোরা আহমদ ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। তার কন্যা অরোরা যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোক বার্তায় তিনি বলেছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ইউরোপের পাকিস্তান দূতাবাসগুলোতে কর্মরত বাঙালি কূটনীতিকদের মধ্যে মহিউদ্দিন আহমদ প্রথম পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেন।
১৯৭১ সালে তিনি লন্ডনের পাকিস্তান হাই কমিশনের দ্বিতীয় সচিবের পদ ছেড়ে দিয়ে যুক্তরাজ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সার্বক্ষণিক কাজ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। ৮০ বছর বয়সী মহিউদ্দিন আহমেদ সোমবার ২০ জুন) সন্ধ্যায় উত্তরার বাসায় মারা যান।
পেশাদার কূটনীতিক মহিউদ্দিন আহমদ মুক্তিযুদ্ধের সময় লন্ডনে পাকিস্তান হাইকমিশনে দ্বিতীয় সচিব থাকা অবস্থায় বাংলাদেশে গণহত্যার প্রতিবাদে পদত্যাগ করে মুজিবনগর সরকারে যোগ দেন। লন্ডনে প্রতিদিন মিছিল-সমাবেশ করে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
জেএন/টিটি