চট্টগ্রাম পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৪তম সভা আজ মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেল ৪টায় বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মোঃ মাসুদ কামালের সঞ্চালনায় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ জাকির হোসেন খান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী শাব্বির ইকবাল, চট্টগ্রাম সেনা নিবাসের মেজর ফারুক মেহেদী, বিজিবি চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেঃ কর্ণেল আহমেদ জামিল, সিটি করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ, রেলওয়ের সিইও সুজন চৌধুরী, সিএমপি’র ডিসি (পশ্চিম) আব্দুল ওয়ারিশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) কবীর আহম্মেদ, রেলওয়ওে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আরমান হোসেন, আনসার পরিচালক আশীষ কুমার দাশ, ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী সজীব বড়ুয়া, পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহ রেওয়াজ মিয়া, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী গোফরান উদ্দিন চৌধুরী, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শাহরিয়ার নেওয়াজ, উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ, ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিউটন দাশ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী প্রমূখ। সভায় সরকারের বিভিন্ন স্তরে কর্মরত কর্মকর্তা ও সেবা সংস্থারর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার যে সকল পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে ও চরম ঝুঁকির মধ্যে নি¤œ আয়ের লোকজন বসবাস করছে সেগুলো উচ্ছেদ করে লোকজনদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হচ্ছে। একই সাথে অবৈধ স্থাপনাগুলোর বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। উচ্ছেদের পর ঐসব পাহাড়ে আর যাতে কেউ বসতি স্থাপন করতে না পারে সে ব্যাপারে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। যারা পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে তাদের পূনর্বাসনের ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে ৫ জনের প্রাণহাণির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য সেবাসংস্থা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ১৮০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ ১২০ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে এনেছে। অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
জেএন/এমআর