ফটিকছড়িতে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের মামলায় উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম এবং সাবেক উপজেলা নির্বাচন অফিসার হুমায়ুন কবিরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শরমিন জাহানের আদালত এ আদেশ দেন। হুমায়ুন কবির বর্তমানে রামগড় উপজেলা নির্বাচন অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
ট্রাইব্যুনাল পিপি অ্যাডভোকেট এমএ নাসের বলেন, ধর্ষণ মামলায় দুই আসামি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসর্মপণ করতে নির্দেশনা দেন।
সেই আলোকে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অভিযুক্ত উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম ও নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ন কবির ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে ফটিকছড়িতে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে একটি পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক এ মামলা করেন।
১২ মে ফটিকছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগে দুই সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এক গৃহকর্মী। উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম এবং সাবেক উপজেলা নির্বাচন অফিসার হুমায়ুন কবিরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন তিনি।
ওই নারী এজাহারে উল্লেখ করেন, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম এবং সদ্য সাবেক উপজেলা নির্বাচন অফিসার হুমায়ুন কবির উপজেলা কমপ্লেক্সের অদূরে একটি বাসায় থাকতেন। সেখানে রান্না-বান্নার কাজ করতেন স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী।
গত ২৭ মার্চ দুপুরে বাসায় ডেকে নিয়ে তাকে দই-তরমুজ খাওয়ানো হয়। বিকেল উপজেলা আনসার-ভিডিপি অফিসার সাইদুল ইসলাম তাকে ধর্ষণ করেন।
পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় আনসার সদস্য এয়াকুব কক্ষের বাইরে পাহারা ছিলেন। পরে তাকে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নিয়ে চিকিৎসা করে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
এরপর গত ১১ মে দুপুরে উপজেলা পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহারকে বিষয়টি অবহিত করলে তারা ভিকটিমকে ইউএনও’র কাছে নিয়ে যান। প্রাথমিক তদন্ত শেষে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ।
জেএন/এমআর