ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ (২৩ জুন)। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত টানা ক্ষমতায় দলটি।
১৯৪৯ সালের এ দিনে ঢাকার কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে গঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। দলের নামের সঙ্গে মুসলিম শব্দটি নিয়ে অনেকই আপত্তি তুলেছিলেন। পরে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ আওয়ামী মুসলিম লীগে কাউন্সিলে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়।
সে সময়ে সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। পরে তিনি দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
আন্দোলনের সংগ্রামের মাধ্যমে দলটির নেতৃত্বে হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ। জাতির পিতার ডাকে অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নামে বাঙালি জাতি, পরাজিত হয় পশ্চিম পাকিস্তানিরা। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মীরা দেশ গড়ায় মনোযোগী হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পরে দলটির ওপর নানা ঝড় বয়ে যায়। ভাঙনের মুখে ১৯৮১ সালে দলের হাল ধরেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে হয়েছে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলন।
দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপর ২০০১ সালে নির্বাচনের পরাজয়ের পরে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে দলটি। সেনাসমর্থিত এক-এগারোর সরকার ২০০৭ সালে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে। যার প্রভাব পড়ে দলীয় কার্যক্রমে। কিন্তু তৃণমূলের নেতাদের হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়ায় দলটি।
২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি।
দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক দিনের কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টায় দলটির সীমিতসংখ্যক নেতাদের নিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনা সভা করবে দলটি। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় এ সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হবেন।
জেএন/এমআর