নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বলেছেন, বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলসহ সমুদ্র বন্দরগুলোর কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে।
সেই সঙ্গে এ সংক্রান্ত নিরাপত্তা বজায় রাখার মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতির গতিশীলতা নিশ্চিতকরণে নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে আরও দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান ২০১৯বি ব্যাচ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২২এ ব্যাচের গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
নৌবাহিনী প্রধান তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সেই সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বীর নৌসেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
শাহীন ইকবাল বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও দিকনির্দেশনায় নৌবাহিনী আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি আধুনিক ও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে সুপরিচিত।
নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে ইতিমধ্যে নৌবহরে সাবমেরিনসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফটসহ আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজিত হয়েছে এবং সম্প্রতি নতুন ৬টি যুদ্ধজাহাজ নৌবহরে কমিশনিং করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে হেলিকপ্টার, উন্নততর জাহাজ এবং আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া নির্মাণাধীন ঘাঁটিগুলোর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
নৌবাহিনীর ২০১৯বি ব্যাচের ৬২ জন মিডশিপম্যান এবং ২০২২এ ব্যাচের ৬ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ মোট ৬৮ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন। এদের মধ্যে ৮ জন নারী, ২ জন মালদ্বীপ এবং ১ জন প্যালেস্টাইনের মিডশিপম্যান রয়েছেন।
কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের মধ্যে মিডশিপম্যান ২০১৯বি ব্যাচের মো. আশরাফুর রহমান সব বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী সেরা চৌকস মিডশিপম্যান হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ অর্জন করেন।
মিডশিপম্যান এইচএম ইফাজ রহমান প্রশিক্ষণে ২য় সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী হিসেবে ‘নৌ প্রধান স্বর্ণপদক’ লাভ করেন। ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২২এ ব্যাচের কাজী মো. ইখতিয়ার রেজা রিয়ন শ্রেষ্ঠ ফলাফল অর্জনকারী হিসেবে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক’ লাভ করেন।
পরে নবীন কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন এবং তাদের র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অসামরিক কর্মকর্তা ও সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/টিটি