দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু মহাধুমধামে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী শনিবার (২৫ জুন)। এদিন সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এরপর সরকারপ্রধান পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে জাজিরা প্রান্তে যাবেন এবং সেখানে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন।
পদ্মা সেতু গতকাল (২২ জুন) বুঝে নিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ আনুষ্ঠানিকভাবে সেতু হস্তান্তর করেছে।ইতোমধ্যেই সেতুর সব ধরনের কাজ শেষ হয়েছে। ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার পর ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে এ সেতুতে গাড়ি চলাচল শুরু হবে। এর আগেই আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া হিসেবে সেতুটি বুঝে নেয় সেতু কর্তৃপক্ষ।
স্বপ্নের এই পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের আগ্রহ অনেক। ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ২১ জেলাকে সংযুক্ত করবে এই সেতু।উপকৃত হবে অন্তত তিন কোটি মানুষ। দৈনিক ৭৫ হাজার যানবাহন চলাচল করবে এই সেতু দিয়ে।
জনসাধারণের জন্য ২৬ জুন পদ্মা সেতু উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতু নির্মাণে কাজ ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর শুরু করে সরকার। মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় মাওয়া প্রান্তে ৬ নম্বর পিলারের কাজ দিয়ে। ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির আয়ুষ্কাল ১০০ বছর।
পদ্মা সেতুর কারণে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে দেশের ২১টি জেলা। এই সেতুর কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৩ কোটি মানুষ সরাসরি উপকারভোগী হবে।
জেএন/এমআর