হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন আর তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্রোতস্বিনী পদ্মার ওপর সেতু বানিয়ে এনে দিলেন অর্থনৈতিক মুক্তি। অর্থনৈতিক এই মুক্তি শুধু দক্ষিণের মানুষের জন্য নয় এই মুক্তি দেশ ও দেশের মানুষের। জাতির সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতু অর্জন একটি মাইলফলক। দেশের যুগান্তকারী অর্জন ও উন্নয়নের গর্বিত অংশীদার।
প্রমত্তা পদ্মা নদীর ওপর আওয়ামী লীগ সরকারের বানানো সেতু নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন।
তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে এতো বড় প্রকল্প পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। নানান প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে শেখ হাসিনা বিশ্ববাসিকে দেখিয়ে দিলেন চাইলে আমরাও পারি-বাংলাদেশও পারে।
নাছির বলেন, পদ্মা সেতু শুধু বাংলাদেশের একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন নয়, পদ্মা সেতু বাঙালির আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের চূড়ান্ত বিজয় অর্জন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবল, সততা, সাহসিকতা ও দূরদর্শীতায় সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এই পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হয়েছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের শাসন এবং শোষণের হাত থেকে রক্তক্ষয়ি যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান। আর তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছেন। একই সাথে পিছিয়ে পড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেকে পদ্মা ব্রিজের মাধ্যমে যুক্ত করলেন দেশের মুল অর্থনীতিতে।
নাছির বলেন, পদ্মা ব্রিজের শুরু থেকে নানান প্রতিকুলতার সাথে লড়াই করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেষ পর্যন্ত তার সংকল্পে অটুট ছিলেন। এটাও এক ধরণের যুদ্ধ। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যে যুদ্ধ হয়েছিলো সে যুদ্ধ দৃশ্যমান শত্রুর সাথে। আর ২০২২সালে শেখ হাসিনা যে যুদ্ধে জয়ী হলেন সে যুদ্ধ ছিলো অদৃশ্য শক্তির সাথে। তবুও তিনি লড়েছেন। এই প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি। কিন্তু প্রমত্তা পদ্মার বুকে যে সেতু বানানো হলো সে সেতু বানানোটা একাত্তরের যুদ্ধের চেয়ে কোনো অংশে কম ছিলো না।
দেশের মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিতে শেখ হাসিনার এই অবদান রেখে গেলেন সে অবদানের সাক্ষী হয়ে থাকলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষ।
তিনি আরও বলেন, শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১২টায় মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের ইতিহাস সৃষ্টি করলেন শেখ হাসিনা। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে দেশের মুল অর্থনীতিতে। বাড়বে প্রবৃদ্ধির হারও।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতুর কারণে বদলে যাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার অর্থনৈতিক অঞ্চল। এসব অঞ্চলে বাড়বে খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ। আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক যাত্রী চলাচল ও বাণিজ্য যোগাযোগের বড় রুটকে সংযুক্ত করবে পদ্মা সেতু। এই সেতুর কারণে মোংলা ও পায়রা বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলা হচ্ছে খুলনা বিভাগের> খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, মাগুরা, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া। বরিশাল বিভাগের> বরিশাল, পিরোজপুর,ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি এবং ঢাকা বিভাগের> গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী এর বাইরে খুলনা বিভাগের মেহেরপুর ও চুয়াডাঙা।
জেএন/এমআর