রেলের সিগনালের জায়গায় সব শহরে ওভারপাস করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অন্যদিকে, এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, সব শহরে রেলক্রসিংয়ের পরিবর্তে পর্যায়ক্রমে রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, মসলা চাষ ও গবেষণা বাড়াতে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যায় পানি সরানো জন্য কেটে ফেলা সড়ক নতুন করে নির্মাণ না করে সেখানে ব্রিজ কালভার্ট করে পানি প্রবাহ ঠিক রেখে প্রকল্প হাতে নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পানি প্রবাহে বাধা দেওয়া যাবে না।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০ প্রকল্প প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে ৩৪১ কোটি টাকা পাওয়া যাবে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ; মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ; কুষ্টিয়া (ত্রিমোহনী)-মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ (আর-৭৪৫) আঞ্চলিক মহাসড়কের ৮১তম কিমি-এ রেলবাজার রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ; চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়ীয়া-পাথরঘাটা মহাসড়কের (জেড-৮৭০১) পিরোজপুর অংশের জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত বেইলি সেতুর স্থলে পিসি গার্ডার সেতু ও আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ; কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ (১.৬০ কিমি থেকে ৩২.০০ কিমি পর্যন্ত) সড়ক প্রশস্তকরণ; জামালপুর শহরের গেটপাড় এলাকায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ (১ম সংশোধিত); বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা সদরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ (১ম পর্যায়) (৩য় সংশোধিত); ঢাকা সেনানিবাসে এমইএস (মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস) এর ভৌত অবকাঠামো সুবিধাদি সম্প্রসারণ; কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন।
জেএন/এমআর