সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক পদে তিন ধাপে লিখিত পরীক্ষা শেষে এখন চলছে মৌখিক পরীক্ষা। মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে কোনো অপেক্ষমাণ তালিকা বা প্যানেল থাকবে না।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চূড়ান্ত ফলাফলে প্রতিটি উপজেলা/শিক্ষা থানার জন্য নিয়োগযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা ছাড়া অন্য কোনো অপেক্ষমাণ তালিকা/প্যানেল প্রস্তুত করা হবে না।
মৌখিক পরীক্ষার ২০ নম্বরের মধ্যে ১০ নম্বর এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক শ্রেণির শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্ধারিত করা হবে। বাকি ১০ নম্বরের ওপর প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব, প্রকাশক্ষমতা, সাধারণ জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড যাচাই করে ইন্টারভিউ বোর্ড নম্বর দেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯’ অনুসরণ করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। উত্তরপত্র মূল্যায়নসহ ফলাফল প্রস্তুতের সব কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
দালাল বা প্রতারক চক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রাথমিকের প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪০ হাজার ৮৬২ জন। দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ জন এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গত ১২ জুন এবং দ্বিতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা ১৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে।
জয়নিউজ/পিডি